ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

জীবিত ব্যক্তির নাম মৃত ভোটারের তালিকায়

index-18-300x200বিশেষ প্রতিবেদক ::

জীবিত থেকেও হালনাগাদ ভোটার তালিকায় এক মহিলাকে মৃত ভোটারের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। একারণে ওই মহিলা ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি হারিয়েছে বাংলাদেশী জাতীয়তাও। কোন বিশেষ ব্যক্তির দ্বারা প্ররোচিত হয়ে তাকে নির্বাচনের প্রার্থী থেকে সরিয়ে দিতে এধরণের জঘন্য অপরাধের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন নুর জাহান নামে এক মহিলা।
সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ৪ নং ওয়ার্ড এলাকার নূরুল আলমের স্ত্রী নুরজাহান জানান, দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে ২৩ ফেব্রুয়ারী হ্নীলা ইউনিয়নে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন জমা দেয় সে। ওই মনোনয়নের প্রেক্ষিতে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ নুরুল আবছার তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় তার নাম নেই বলে উল্লেখ করেন। একই সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ট্যাটাসে তাকে মৃত দেখানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে সে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে তার মনোনয়ন পত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপীল ও মৃত তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভোটার তালিকায় জীবিত দেখানোর আবেদন করেন।
তিনি আরো জানান, ২০১১ সালে স্থানীয় নির্বাচনে সে ওই এলাকা থেকে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বদ্ধিতা করেছিল। ওই সময় সে অল্প ভোটে হেরে যায়। পরবর্তীতে তাকে একদল অজ্ঞাত সন্ত্রাসী স্বশস্ত্র হামলা চালায়। ওই সময় সে গুরুত্বর আহত হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর সে সুস্থ হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার কারণে গেল সংসদ নির্বাচনে সে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়নি। এরই মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায় হালনাগাদের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গোপনে তাকে মৃত ব্যক্তিদের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবী করেন।
একটি বিশেষ মহল তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কতিপয় ওই মহলটি তাকে নির্বাচনে প্রার্থীতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য এ ধরণের জঘন্য অপরাধের আশ্রয় নিয়েছে। তাই এই অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: